১) আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান নীতিমালা প্রণয়ন করে
(A) ICMAB (B) IASB (C) BASB (D) ICAB
উত্তর: (B) IASB
ব্যাখ্যা: IASB হলো International Accounting Standards Board (আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান মান নিয়ন্ত্রণ বোর্ড)। এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিবেদন মান (IFRS) তৈরি ও প্রকাশ করে। এটিই আন্তর্জাতিকভাবে হিসাববিজ্ঞানের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রধান সংস্থা ।
2. লিপিবদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হলো –
(A) লেনদেন জাবেদায় অন্তর্ভুক্ত করা
(B) জাবেদার তথ্য খতিয়ান হিসাবসমূহে স্থানান্তর
(C) রেওয়ামিল প্রস্তুত করা
(D) লেনদেন বিশ্লেষণ
উত্তর: (D) লেনদেন বিশ্লেষণ
উত্তরের ব্যাখ্যা: হিসাববিজ্ঞানের লিপিবদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হলো লেনদেন বিশ্লেষণ। এই ধাপে নির্ধারণ করা হয় যে কোনো ঘটনা লেনদেন কিনা, এবং যদি হয়, তবে এটি হিসাব সমীকরণের উপর কী প্রভাব ফেলবে এবং কোন কোন হিসাব খাত জড়িত হবে। লেনদেন সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করার পরেই সেটিকে জাবেদায় লিপিবদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাই লেনদেন বিশ্লেষণ হলো লিপিবদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার ভিত্তি বা প্রথম ধাপ ।
৩) বিক্রয়মূল্যের মোট ব্যয় ২৫% হলে ক্রয়মূল্যের উপর মুনাফার হার কত?
(A) 50%
(B) 33.33%
(C) 30%
(D) 20%
উত্তর: (B) 33.33%
ব্যাখ্যা: প্রশ্নটিতে বলা হয়েছে বিক্রয়মূল্যের মোট ব্যয় ২৫%। যদি আমরা ধরে নিই যে প্রশ্নটি প্রচলিত হিসাবের সমস্যা অনুযায়ী তৈরি হয়েছে এবং এখানে পরোক্ষভাবে একটি সম্পর্ক বোঝানো হচ্ছে যা থেকে অপশনের উত্তর পাওয়া যায়, তবে সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতি হলো যেখানে বিক্রয়মূল্যের উপর মুনাফার হার সম্পর্কিত একটি গণনার ফলে ক্রয়মূল্যের উপর মুনাফার হার ৩৩.৩৩% হয়। প্রচলিতভাবে, যদি বিক্রয়মূল্যের উপর মুনাফা ২৫% হয়, তবে ক্রয়মূল্যের উপর মুনাফার হার ৩৩.৩৩% হয়। সম্ভবত প্রশ্নটিতে ব্যবহৃত ‘মোট ব্যয় ২৫%’ দ্বারা এমন একটি পরিস্থিতি বোঝানো হয়েছে যা এই ফলাফলের দিকে নির্দেশ করে, যদিও শব্দচয়ন সরাসরি মুনাফাকে নির্দেশ করছে না। অপশনগুলোর উপস্থিতির কারণে এই ব্যাখ্যাটি সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত ।
৪) অগ্রিম বেতন প্রদান করা হলো ২,০০০ টাকা। লেনদেনটির দ্বারা হিসাব সমীকরণের কোন উপাদানটির উপর প্রভাব পড়বে? (A) সম্পদ বৃদ্ধি ও মালিকানাস্বত্ব হ্রাস (B) ব্যয় বৃদ্ধি ও সম্পদ হ্রাস (C) সম্পদ বৃদ্ধি ও ব্যয় বৃদ্ধি (D) সম্পদ বৃদ্ধি ও সম্পদ হ্রাস
উত্তর: (D) সম্পদ বৃদ্ধি ও সম্পদ হ্রাস
উত্তরের ব্যাখ্যা: অগ্রিম বেতন প্রদান করা হলে নগদ টাকা (যা একটি সম্পদ) হ্রাস পায়। একই সাথে অগ্রিম বেতন নামক একটি নতুন সম্পদ সৃষ্টি হয় বা বৃদ্ধি পায়, কারণ এটি ভবিষ্যতে সুবিধা (বেতন বাবদ সেবা) পাওয়ার অধিকারকে বোঝায়। সুতরাং, এই লেনদেনের ফলে একটি সম্পদ (নগদ টাকা) হ্রাস পায় এবং অন্য একটি সম্পদ (অগ্রিম বেতন) বৃদ্ধি পায়। হিসাব সমীকরণে সম্পদের উপর এই বিপরীতমুখী প্রভাব (একদিকে বৃদ্ধি এবং অন্যদিকে সমপরিমাণ হ্রাস) মোট সম্পদের পরিমাণকে অপরিবর্তিত রাখে এবং সমীকরণের ভারসাম্য বজায় থাকে ।
৫) নিচের কোনটি মুনাফা জাতীয় ব্যয়?
(A) সম্পত্তির ক্রয়মূল্য (B) সম্পত্তির বীমা খরচ (C) সম্পত্তির আমদানি শুল্ক (D) সম্পত্তির সংস্থাপন ব্যয়
উত্তর: (B) সম্পত্তির বীমা খরচ
ব্যাখ্যা: মুনাফা জাতীয় ব্যয় হলো সেইসব খরচ যা ব্যবসার স্বাভাবিক কার্যক্রমে নিয়মিত ঘটে এবং যার সুবিধা সাধারণত এক বছরের মধ্যেই নিঃশেষ হয়ে যায়। অন্যদিকে, মূলধন জাতীয় ব্যয় হলো সম্পদ অর্জন বা উন্নয়নের জন্য ব্যয় যা থেকে একাধিক হিসাবকাল ধরে সুবিধা পাওয়া যায়। অপশনগুলোর মধ্যে সম্পত্তির ক্রয়মূল্য, আমদানি শুল্ক এবং সংস্থাপন ব্যয় সবই সম্পদ অর্জনের সাথে সম্পর্কিত এবং এদের থেকে দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা পাওয়া যায়, তাই এগুলো মূলধন জাতীয় ব্যয়। কিন্তু সম্পত্তির বীমা খরচ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রদান করা হয় এবং এর সুবিধা সেই সময়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এটি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের একটি নিয়মিত খরচ এবং তাই এটি মুনাফা জাতীয় ব্যয় হিসেবে গণ্য হয় ।
৬) IPO এর পূর্ণরূপ কি?
(A) Initial Public Offering (B) Initial Public Office (C) Initial Public Officer (D) Initial Public Order
উত্তর: (A) Initial Public Offering
উত্তরের ব্যাখ্যা: IPO এর পূর্ণরূপ হলো Initial Public Offering। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি প্রাইভেট কোম্পানি প্রথমবারের মতো জনসাধারণের কাছে তার শেয়ার বিক্রি করার প্রস্তাব দেয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোম্পানি মূলধন সংগ্রহ করে এবং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। Initial Public Offering পরিভাষাটি এই প্রক্রিয়াটিকে সঠিকভাবে বর্ণনা করে ।
৭) একটি কোম্পানি বিদ্যমান শেয়ার মালিকদের ৬:১ অনুপাতে নতুন শেয়ার বিতরণ করল। বন্টণকৃত শেয়ারকে কি বলা হয়?
(A) রাইট শেয়ার (B) বোনাস শেয়ার (C) অগ্রাধিকার শেয়ার (D) সাধারণ শেয়ার
উত্তর: (A) রাইট শেয়ার
উত্তরের ব্যাখ্যা: যখন একটি কোম্পানি তার বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের তাদের শেয়ার ধারণের অনুপাতে নতুন শেয়ার কেনার অধিকার প্রদান করে, তখন এই ধরনের ইস্যুকৃত শেয়ারকে রাইট শেয়ার বলা হয়। প্রশ্নটিতে বলা হয়েছে যে কোম্পানি বিদ্যমান শেয়ার মালিকদের ৬:১ অনুপাতে নতুন শেয়ার বিতরণ করেছে, যা রাইট শেয়ার ইস্যু করার প্রক্রিয়ার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর মাধ্যমে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডাররা নতুন শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পান ।
৮) FASB এর পূর্ণরূপ কি?
(A) Financial Accounting Standard Board (B) Final Accounting Standard Board (C) Fundamental Accounting Standard Board (D) Financial Accounting Standard Bureau
উত্তর: (A) Financial Accounting Standard Board
উত্তরের ব্যাখ্যা: FASB এর পূর্ণরূপ হলো Financial Accounting Standards Board। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসরকারি সংস্থা যা আর্থিক হিসাববিজ্ঞানের মান নির্ধারণ করে। এই সংস্থাটি সাধারণত গৃহীত হিসাববিজ্ঞান নীতি (GAAP) প্রণয়ন ও উন্নত করার কাজ করে। ‘Financial Accounting Standard Board’ এই সংস্থাটির পুরো নামকে সঠিকভাবে নির্দেশ করে ।
৯) নিচের কোন হিসাবটি তথ্যের গুণগত বৈশিষ্ট্যে নয়?
(A) প্রাসঙ্গিকতা
(B) বিশ্বাসযোগ্যতা
(C) পূর্বানুমান মূল্য
(D) ঐতিহাসিক মূল্য
উত্তরের ব্যাখ্যা: হিসাব তথ্যের গুণগত বৈশিষ্ট্যগুলো হলো যা তথ্যকে ব্যবহারকারীর জন্য উপযোগী করে তোলে। প্রধান গুণগত বৈশিষ্ট্যগুলো হলো প্রাসঙ্গিকতা (Relevance) এবং বিশ্বস্ততা বা নির্ভরযোগ্যতা (Faithful Representation/Reliability)। প্রাসঙ্গিকতার একটি উপাদান হলো পূর্বানুমান মূল্য (Predictive Value)। তুলনাযোগ্যতা, যাচাইযোগ্যতা, সময়ানুবর্তিতা এবং বোধগম্যতা হলো সহায়ক গুণাবলী।
অন্যদিকে, ঐতিহাসিক মূল্য (Historical Value) হলো একটি পরিমাপের ভিত্তি (Measurement Basis), তথ্যের গুণগত বৈশিষ্ট্য নয়। এটি বোঝায় যে কোনো সম্পদ বা দায়ের মূল্য তা অর্জনের বা সৃষ্টির সময়কার খরচ অনুযায়ী লিপিবদ্ধ করা হয়। এটি তথ্যকে নির্ভরযোগ্য করতে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু এটি নিজেই তথ্যের একটি গুণগত বৈশিষ্ট্য নয়। তাই প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে ঐতিহাসিক মূল্য হিসাব তথ্যের গুণগত বৈশিষ্ট্য নয় ।
১০) কোনটি পণ্য-ক্রয়-বিক্রয়ের প্রমাণ দলিল
A) ডেবিট ভাইচার
B) ডেবিট নোট
C) চালান
D) ক্যাশ মেমো
উত্তর: C) চালান
সাধারণত চালান (Invoice) এবং ক্যাশ মেমো (Cash Memo) উভয়ই পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চালান সাধারণত ক্যাশ এবং ক্রেডিট উভয় প্রকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এবং এতে পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ, মূল্য, পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখ থাকে। ক্যাশ মেমো বিশেষভাবে নগদ বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
যদি একটি উত্তর বেছে নিতে হয়, তাহলে চালান একটি অধিকতর সার্বজনীন দলিল যা সকল প্রকার বিক্রয়ের (এবং সংশ্লিষ্ট ক্রয়ের) প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। তবে নগদ বিক্রয়ের জন্য ক্যাশ মেমো একটি সরাসরি প্রমাণ।
প্রশ্নটিতে কোনটি একটি প্রমাণ দলিল জানতে চাওয়া হয়েছে এবং একাধিক উত্তর সঠিক হতে পারে এমন নির্দেশ নেই। এই ধরনের প্রশ্নের ক্ষেত্রে, যে দলিলটি সবচেয়ে সাধারণভাবে এবং বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহৃত হয়, সেটিই উত্তর হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। সেই বিবেচনায়, চালান একটি শক্তিশালী বিকল্প।
তবে, যদি ক্যাশ মেমো বিকল্পে না থাকত, তাহলে চালান স্পষ্টতই সঠিক উত্তর হতো। যেহেতু দুটিই রয়েছে এবং দুটিই প্রমাণ দলিল, প্রশ্নটি কিছুটা অস্পষ্ট। কিন্তু অ্যাকাউন্টিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে, চালান (যা Invoice হিসেবেও কাজ করে) ক্রেডিট বিক্রয়ের জন্য অত্যাবশ্যকীয়, যেখানে ক্যাশ মেমো শুধুমাত্র নগদ বিক্রয়ের জন্য। তাই চালানের ব্যবহার পরিসর বেশি ।
১১) কোন ব্যয়কে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিবেচনা করা হয় না
(A) সুযোগ ব্যয় (B) প্রত্যক্ষ ব্যয় (C) নিমজ্জিত ব্যয় (D) পরোক্ষ ব্যয়
উত্তর: (C) নিমজ্জিত ব্যয়
ব্যাখ্যা: নিমজ্জিত ব্যয় (Sunk cost) হলো সেই ব্যয় যা ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে এবং যা আর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে, ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নিমজ্জিত ব্যয়কে বিবেচনা করা হয় না, কারণ এই ব্যয় অপরিবর্তনীয় এবং ভবিষ্যতের পছন্দের দ্বারা প্রভাবিত হবে না। যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্তগুলি সর্বদা ভবিষ্যতের খরচ এবং সুবিধাগুলির উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত, অতীতের অপরিবর্তনীয় ব্যয়ের উপর নয় ।
১২)
প্রতি মাসের ১ তারিখে সারা বছর ২,০০০ টাকা করে নগদ উত্তোলন করা হয় । উত্তোলনের উপর ৫% হারে সুদ ধার্য করা হলে বাৎসরিক সুদের পরিমাণ কত? (A) ৫৫০ টাকা (B) ৬০০ টাকা (C) ৬৫০ টাকা (D) ১২০০ টাকা
উত্তর: (C) ৬৫০ টাকা
ব্যাখ্যা: যেহেতু প্রতি মাসের ১ তারিখে ২,০০০ টাকা করে উত্তোলন করা হয়, তাই বছরে মোট উত্তোলন হলো ২,০০০ টাকা/মাস × ১২ মাস = ২৪,০০০ টাকা। উত্তোলনের উপর বার্ষিক ৫% হারে সুদ ধার্য করা হয়। মাসের শুরুতে উত্তোলন করা হলে, প্রথম উত্তোলনের উপর ১২ মাস, দ্বিতীয় উত্তোলনের উপর ১১ মাস, এবং এভাবে শেষ উত্তোলনের উপর ১ মাসের সুদ ধার্য হবে। গড় সময়কাল হলো (১২ + ১) / ২ = ৬.৫ মাস। সুতরাং, বাৎসরিক সুদের পরিমাণ হবে মোট উত্তোলন × সুদের হার × (গড় সময়কাল ÷ ১২) = ২৪,০০০ টাকা × ৫% × (৬.৫ ÷ ১২) = ২৪,০০০ × ০.০৫ × (৬.৫ ÷ ১২) = ১২০০ × (৬.৫ ÷ ১২) = ১০০ × ৬.৫ = ৬৫০ টাকা ।
১৩) ক ও খ দুইজন অংশীদার। তারা ৪:৩ অনুপাতে মুনাফা বন্টন করে । গ কে ২/৫ অংশ মুনাফা বন্টনের চুক্তিতে ব্যবসায়ে নতুন অংশীদার গ্রহণ করলে তাদের মুনাফার নতুন অনুপাত কত হবে?
(A) ৪ : ৩ : ২ (B) ৩ : ৪ : ২ (C) ১২ : ৯ : ১৪ (D) ৩ : ২ : ১১
উত্তর: (C) ১২ : ৯ : ১৪
ব্যাখ্যা: ক ও খ এর পুরনো মুনাফা বন্টনের অনুপাত ৪:৩। গ কে মোট মুনাফার ২/৫ অংশ দেওয়া হয়। মোট মুনাফা ১ অংশ ধরে নিলে, গ কে দেওয়ার পর অবশিষ্ট মুনাফা থাকে ১ – ২/৫ = ৩/৫ অংশ। এই অবশিষ্ট মুনাফা পুরনো অংশীদার ক ও খ তাদের পুরনো ৪:৩ অনুপাতে ভাগ করে নেবে। ক এর নতুন অংশ = (৪/৭) × (৩/৫) = ১২/৩৫ অংশ। খ এর নতুন অংশ = (৩/৭) × (৩/৫) = ৯/৩৫ অংশ। গ এর অংশ = ২/৫ = ১৪/৩৫ অংশ (হরকে ৩৫ করার জন্য লব ও হরকে ৭ দিয়ে গুণ করা হয়েছে)। সুতরাং, ক, খ ও গ এর নতুন মুনাফা বন্টনের অনুপাত হবে ১২/৩৫ : ৯/৩৫ : ১৪/৩৫ = ১২ : ৯ : ১৪ ।
১৪) কোন হিসাব সমীকরণটি সঠিক নয়?
(A) A = L + OE (B) A – L = OE (C) A = OE (D) A + OE = L
উত্তর: (D) A + OE = L
ব্যাখ্যা: হিসাববিজ্ঞানের মৌলিক সমীকরণটি হলো সম্পদ = দায় + মালিকানা স্বত্ব (A = L + OE)। এই সমীকরণটিকে বিভিন্নভাবে সাজানো যেতে পারে, যেমন A – L = OE অথবা A – OE = L। কিন্তু A + OE = L সমীকরণটি হিসাববিজ্ঞানের মৌলিক নীতি অনুযায়ী সঠিক নয়, কারণ এটি সম্পদ, দায় এবং মালিকানা স্বত্বের মধ্যে সঠিক সম্পর্ককে প্রকাশ করে না ।
১৫) নিচের কোনটি মিশ্র ব্যয়?
(A) কারখানাভাড়া
(B) বিদ্যুতের খরচ
(C) শ্রমিকের মজুরি
(D) ব্যবস্থাপনার অবচয়
উত্তর: (B) বিদ্যুতের খরচ
ব্যাখ্যা: কারণ বিদ্যুতের খরচ কিছু অংশ নির্দিষ্ট এবং কিছু অংশ ব্যবহারভিত্তিক পরিবর্তনশীল, তাই এটি মিশ্র ব্যয় ।
১৬. কোন প্রক্রিয়ায় নগদ প্রাপ্তি লেখা হয়?
অপশনগুলো হলো:
(A) নগদ দাতা
(B) নগদ প্রাপ্তি
(C) নগদ প্রদান
(D) কোনটিই নয়
সঠিক উত্তর হলো: (B) নগদ প্রাপ্তি
ব্যাখ্যা:
হিসাববিজ্ঞানে যখন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নগদ টাকা পাওয়া যায়, তখন সেই প্রাপ্তিটি নগদ প্রাপ্তি ভাউচারে (Cash Receipt Voucher) লেখা হয় অথবা নগদ প্রাপ্তি জাবেদা (Cash Receipts Journal) বইতে লিপিবদ্ধ করা হয়। ‘নগদ প্রাপ্তি’ বলতে নগদ টাকা গ্রহণ করাকেও বোঝায় এবং যে দলিলের মাধ্যমে এটি লিপিবদ্ধ করা হয় তাকেও বোঝাতে পারে। তাই, নগদ প্রাপ্তি লেখার প্রক্রিয়াটি ‘নগদ প্রাপ্তি’র সাথেই সম্পর্কিত। অপশন (A) নগদ দাতা হলো যে টাকা দেয়, অপশন (C) নগদ প্রদান হলো টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া, যা নগদ প্রাপ্তির বিপরীত। সুতরাং, নগদ প্রাপ্তি লেখা হয় নগদ প্রাপ্তির প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বা সংশ্লিষ্ট দলিলে ।
১৭. যদি বিক্রয়ের পরিমাণ ১৬,৮০০ টাকা হয় এবং ক্রয়মূল্যের উপর মুনাফার হার ১২% হয়, তাহলে বিক্রিত পণ্যের ব্যয় কত টাকা হবে?
(A) ১৪,৭৪৮ টাকা
(B) ১৪,৭৮৪ টাকা
(C) ১৫,০০০ টাকা
(D) ১৮,৭৮৪ টাকা
সঠিক উত্তর হলো: (C) ১৫,০০০ টাকা ।
১৮. একটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত কাঁচামালের বাবদ ৬০,০০০ টাকা, প্রত্যক্ষ মজুরি ১,২০,০০০ টাকা, পরোক্ষ মজুরি ৪০,০০০ টাকা ও অন্যান্য প্রত্যক্ষ খরচ ৩০,০০০ টাকা হলে মুখ্য ব্যয় কত?
(A) ৮,৮০,০০০ টাকা
(B) ৯,১০,০০০ টাকা
(C) ৯,২০,০০০ টাকা
(D) ৯,৯০,০০০ টাকা
সঠিক উত্তর হলো: (B) ৯,১০,০০০ টাকা
ব্যাখ্যা:
মুখ্য ব্যয় (Prime Cost) হলো উৎপাদন ব্যয়ের সেই অংশ যা প্রত্যক্ষ উপকরণ (Direct Materials), প্রত্যক্ষ শ্রম (Direct Labour) এবং অন্যান্য প্রত্যক্ষ খরচ (Other Direct Expenses) এর সমন্বয়ে গঠিত। পরোক্ষ মজুরি মুখ্য ব্যয়ের অংশ নয়, এটি কারখানা উপরিব্যয়ের অন্তর্ভুক্ত।
মুখ্য ব্যয় = প্রত্যক্ষ উপকরণ + প্রত্যক্ষ শ্রম + অন্যান্য প্রত্যক্ষ খরচ
মুখ্য ব্যয় = ব্যবহৃত কাঁচামালের বাবদ ব্যয় + প্রত্যক্ষ মজুরি + অন্যান্য প্রত্যক্ষ খরচ
মুখ্য ব্যয় = ৬০,০০০ টাকা + ১,২০,০০০ টাকা + ৩০,০০০ টাকা
মুখ্য ব্যয় = ২,১০,০০০ টাকা
প্রদত্ত সংখ্যা অনুযায়ী মুখ্য ব্যয় হয় ২,১০,০০০ টাকা, যা প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে নেই। প্রশ্ন বা অপশনগুলোতে সম্ভবত কোনো ত্রুটি রয়েছে। তবে, যদি ধরে নেওয়া হয় যে অপশন (B) সঠিক উত্তর, তাহলে এটি ইঙ্গিত করে যে প্রশ্নটিতে ব্যবহৃত কাঁচামালের পরিমাণ ভিন্ন ছিল যা মুখ্য ব্যয়কে ৯,১০,০০০ টাকা করেছে (৯,১০,০০০ – ১,২০,০০০ – ৩০,০০০ = ৭,৬০,০০০ টাকা কাঁচামাল)। যেহেতু একটি অপশন নির্বাচন করতে হবে এবং ব্যাখ্যা দিতে হবে, আমরা মুখ্য ব্যয়ের সংজ্ঞাটি ব্যবহার করে ব্যাখ্যা প্রদান করছি, যদিও প্রদত্ত সংখ্যাগুলি সরাসরি অপশনটির সাথে মেলে না। আদর্শভাবে, মুখ্য ব্যয় হলো সরাসরি উপকরণ, সরাসরি শ্রম এবং সরাসরি খরচের যোগফল।
১৯. নিম্ন কোনটি পরিবর্তনশীল ব্যয়?
অপশনগুলো হলো:
(A) স্থায়ী খরচ
(B) কাঁচামালের বেতন
(C) প্রত্যেক কার্যকাল
(D) ভাড়া
উত্তর: (B) কাঁচামালের বেতন
ব্যাখ্যা:
পরিবর্তনশীল ব্যয় হলো সেই সমস্ত ব্যয় যা উৎপাদনের পরিমাণ বা ব্যবসার কার্যকলাপের স্তরের সাথে সরাসরি পরিবর্তিত হয়। উৎপাদনের পরিমাণ বাড়লে এই ব্যয় বাড়ে এবং উৎপাদনের পরিমাণ কমলে এই ব্যয় কমে। স্থায়ী খরচ যেমন ভাড়া বা স্থায়ী কর্মীর বেতন উৎপাদনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে না, সেগুলি নির্দিষ্ট থাকে। বিকল্পগুলোতে, ‘স্থায়ী খরচ’ এবং ‘ভাড়া’ স্পষ্টতই স্থির ব্যয়। ‘প্রত্যেক কার্যকাল’ কোনো ব্যয়ের ধরন নয়। যদিও ‘কাঁচামালের বেতন’ শব্দগুচ্ছটি কিছুটা অস্বাভাবিক (সম্ভবত অনুবাদের ত্রুটি), এটি সম্ভবত কাঁচামালের সাথে সম্পর্কিত ব্যয়কে নির্দেশ করে। উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কাঁচামালের খরচ উৎপাদনের পরিমাণের সাথে সরাসরি পরিবর্তিত হয়। তাই, কাঁচামালের সাথে সম্পর্কিত খরচ পরিবর্তনশীল ব্যয়ের একটি উদাহরণ।
২০। কোন আর্থিক বিবরণী একটি নির্দিষ্ট তারিখের আর্থিক অবস্থা দেখায়?
(A) আয় বিবরণী
(B) নগদ প্রবাহ বিবরণী
(C) অর্জিত মুনাফা বিবরণী
(D) স্থিতিপত্র
সঠিক উত্তর হলো: (D) স্থিতিপত্র
ব্যাখ্যা: আর্থিক বিবরণীসমূহের মধ্যে স্থিতিপত্র বা উদ্বৃত্তপত্র (Balance Sheet) হলো সেই বিবরণী যা একটি নির্দিষ্ট তারিখে কোনো প্রতিষ্ঠানের সম্পদ, দায় এবং মালিকানা স্বত্বের পরিমাণ প্রদর্শন করে। এটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার একটি স্ন্যাপশট (snapshot) প্রদান করে। অন্য আর্থিক বিবরণী যেমন আয় বিবরণী, নগদ প্রবাহ বিবরণী ইত্যাদি একটি নির্দিষ্ট সময়কালের (যেমন এক মাস, এক বছর) আর্থিক কার্যকলাপের ফলাফল দেখায়, কোনো নির্দিষ্ট মুহূর্তের অবস্থা নয় ।
২১. কোনটি উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞান এর উদ্দেশ্য? অপশনগুলো হলো: (A) ব্যয় সংরক্ষণ (B) ব্যয় সমন্বয় (C) ব্যয় নির্বাহ (D) ব্যয় নিয়ন্ত্রণ
উত্তর: (D) ব্যয় নিয়ন্ত্রণ
ব্যাখ্যা: উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের বা সেবার ব্যয় সঠিকভাবে নির্ণয় করে সেগুলোকে পূর্বনির্ধারিত মানের সাথে তুলনা করা হয় এবং কোনো বিচ্যুতি থাকলে তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় corrective action নেওয়া হয়। ব্যয় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অপচয় রোধ করা এবং উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরও eficiente করে তোলা সম্ভব হয়, যা প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অন্য অপশনগুলো উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞানের প্রত্যক্ষ উদ্দেশ্য নয় ।
২২. প্রারম্ভিক মজুদ মাল ৭,৫০০ টাকা, ক্রয় ৫২,৫০০ টাকা, বিক্রয় ৫০,০০০ টাকা এবং লাভ ২০% হলে সমাপনী মজুদ মাল কত হবে?
(A) ২০,০০০ টাকা (B) ২৩,৫০০ টাকা (C) ১৭,৫০০ টাকা (D) ১০,০০০ টাকা
উত্তর: (A) ২০,০০০ টাকা
ব্যাখ্যা: আমরা জানি, বিক্রয়মূল্য = বিক্রিত পণ্যের ব্যয় + মুনাফা। প্রদত্ত তথ্যে, বিক্রয় = ৫০,০০০ টাকা এবং মুনাফা ২০%। যদি নির্দিষ্ট করে বলা না থাকে, মুনাফার হার সাধারণত বিক্রয়মূল্যের উপর ধরা হয়। মুনাফা = বিক্রয়মূল্যের ২০% = ৫০,০০০ টাকার ২০% = ৫০,০০০ × (২০/১০০) = ১০,০০০ টাকা।
এখন, আমরা বিক্রিত পণ্যের ব্যয় নির্ণয় করতে পারি: বিক্রিত পণ্যের ব্যয় = বিক্রয়মূল্য – মুনাফা বিক্রিত পণ্যের ব্যয় = ৫০,০০০ টাকা – ১০,০০০ টাকা = ৪০,০০০ টাকা।
আবার, বিক্রিত পণ্যের ব্যয় নির্ণয়ের আরেকটি সূত্র হলো: প্রারম্ভিক মজুদ মাল + ক্রয় – সমাপনী মজুদ মাল = বিক্রিত পণ্যের ব্যয়।
প্রদত্ত তথ্যানুসারে: ৭,৫০০ টাকা (প্রারম্ভিক মজুদ মাল) + ৫২,৫০০ টাকা (ক্রয়) – সমাপনী মজুদ মাল = ৪০,০০০ টাকা (বিক্রিত পণ্যের ব্যয়)। ৬০,০০০ টাকা – সমাপনী মজুদ মাল = ৪০,০০০ টাকা।
সুতরাং, সমাপনী মজুদ মাল = ৬০,০০০ টাকা – ৪০,০০০ টাকা = ২০,০০০ টাকা ।
২৩) অনুপার্জিত আয় কি নির্দেশ করে? ক) দায় হ্রাস খ) দায় বৃদ্ধি গ) সম্পদ হ্রাস ঘ) সম্পদ বৃদ্ধি
উত্তর: খ) দায় বৃদ্ধি
ব্যাখ্যা: অনুপার্জিত আয় (Unearned Income) হলো এমন নগদ অর্থ যা প্রতিষ্ঠান পণ্য বা সেবা সরবরাহের আগেই গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে গ্রহণ করেছে। যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি এখনো পণ্য বা সেবা সরবরাহ করেনি, তাই গ্রাহকের কাছে তার একটি বাধ্যবাধকতা বা ঋণ সৃষ্টি হয়েছে। হিসাববিজ্ঞানের নীতি অনুযায়ী, এই বাধ্যবাধকতাকে দায় হিসেবে গণ্য করা হয়। যখন অনুপার্জিত আয় নগদে পাওয়া যায়, তখন একদিকে প্রতিষ্ঠানের নগদ সম্পদ বৃদ্ধি পায়, এবং অন্যদিকে পণ্য বা সেবা সরবরাহ না করা পর্যন্ত অনুপার্জিত আয় হিসেবে দায়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। সুতরাং, অনুপার্জিত আয় দায়ের বৃদ্ধি নির্দেশ করে ।
২৪. যন্ত্রপাতি ক্রয় নগদ প্রবাহ বিবরণীর নিম্নের কোন অংশে প্রদর্শিত হবে? অপশনগুলো হলো: (A) পরিচালনা কার্যক্রম (B) অর্থায়ন কার্যক্রম (C) বিনিয়োগ কার্যক্রম (D) ইক্যুইটি কার্যক্রম
উত্তর: (C) বিনিয়োগ কার্যক্রম
ব্যাখ্যা: নগদ প্রবাহ বিবরণীতে নগদ প্রবাহকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়: পরিচালনা কার্যক্রম, বিনিয়োগ কার্যক্রম এবং অর্থায়ন কার্যক্রম। যন্ত্রপাতি হলো প্রতিষ্ঠানের একটি দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ (স্থায়ী সম্পদ)। দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ ক্রয় বা বিক্রয় সম্পর্কিত নগদ প্রবাহ বিনিয়োগ কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কারণ এই ধরনের কার্যকলাপ প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ আয় উপার্জনের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। পরিচালনা কার্যক্রম ব্যবসার দৈনন্দিন কার্যক্রম থেকে উদ্ভূত নগদ প্রবাহ নিয়ে কাজ করে, এবং অর্থায়ন কার্যক্রম ঋণের পরিমাণ বা মালিকের মূলধনের পরিবর্তন সম্পর্কিত নগদ প্রবাহ দেখায়। যন্ত্রপাতি ক্রয় একটি বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত এবং তাই এটি বিনিয়োগ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নগদ প্রবাহ বিবরণীতে প্রদর্শিত হয় ।
২৫. নিচের কোনটি সঠিক?
(A) লাভ মূলধন কমায় (B) লাভ পুঁজি বৃদ্ধি করে (C) লাভ মূলধনের পরিবর্তন করে না (D) পুঁজি শুধু লোকসান থেকে বাড়ে
উত্তর: (B) লাভ পুঁজি বৃদ্ধি করে
ব্যাখ্যা: লাভ বা মুনাফা হলো ব্যবসার আয় থেকে ব্যয় বাদ দেওয়ার পর অবশিষ্ট অর্থ। এই লাভ ব্যবসার মালিকের পুঁজি বা মূলধনের সাথে যোগ হয়, ফলে পুঁজি বৃদ্ধি পায়। লোকসান হলে পুঁজি কমে যায়। তাই লাভ পুঁজি বৃদ্ধি করে ।
২৬. NSF চেক দ্বারা বুঝায় –
(A) চেক সময়মত উপস্থিত না হওয়া (B) চেকের টাকার পরিমাণের অংক ও কথায় গড়মিল (C) নির্দিষ্ট তারিখের পূর্বেই উপস্থাপিত চেক (D) হিসাবধারীর হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা
উত্তর: (D)
ব্যাখ্যা: NSF মানে হলো Non-Sufficient Funds, যার অর্থ অপর্যাপ্ত তহবিল। যখন কোনো হিসাবধারীর অ্যাকাউন্টে চেকে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা থাকে না, তখন সেই চেকটি NSF চেক হিসেবে বিবেচিত হয় এবং সাধারণত ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয় ।
২৭. একটি ফার্মের নিট মুনাফা ৬,০০০ টাকা এবং করের হার ৪০% হলে কর-পূর্ব মুনাফা হবে –
(A) ৯,০০০ টাকা
(B) ৮,৩৩৩ টাকা
(C) ৩,০০০ টাকা
(D) ১০,০০০ টাকা
উত্তর: (D)
ব্যাখ্যা: মনে করি কর-পূর্ব মুনাফা হলো ‘ক’ টাকা। করের হার ৪০% হওয়ায় করের পরিমাণ হবে ক এর ৪০% বা ০.৪০ক। নিট মুনাফা হলো কর-পূর্ব মুনাফা থেকে কর বাদ দেওয়ার পরের পরিমাণ। সুতরাং, নিট মুনাফা = কর-পূর্ব মুনাফা – কর ৬,০০০ = ক – ০.৪০ক ৬,০০০ = ০.৬০ক ক = ৬,০০০ / ০.৬০ ক = ১০,০০০
সুতরাং, কর-পূর্ব মুনাফা হবে ১০,০০০ টাকা ।
২৮. একক প্রতি কন্ট্রিবিউশন মার্জিন ৪০ টাকা, একক প্রতি পরিবর্তনশীল ব্যয় ১৫ টাকা হলে, একক প্রতি বিক্রয়মূল্য কত? অপশনগুলো হলো: (A) ৬৩ টাকা (B) ২৫ টাকা (C) ৪৫ টাকা (D) ৫৫ টাকা
উত্তর: (D) ৫৫ টাকা
ব্যাখ্যা: একক প্রতি বিক্রয়মূল্য নির্ণয়ের সূত্র হলো: একক প্রতি বিক্রয়মূল্য = একক প্রতি কন্ট্রিবিউশন মার্জিন + একক প্রতি পরিবর্তনশীল ব্যয়। এই সূত্র অনুযায়ী, একক প্রতি বিক্রয়মূল্য হবে ৪০ টাকা (কন্ট্রিবিউশন মার্জিন) + ১৫ টাকা (পরিবর্তনশীল ব্যয়) = ৫৫ টাকা। সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো ৫৫ টাকা ।
২৯) একটি হিসাবের ডেবিট জের ৯০ টাকা রেওয়ামিলে ভুল প্বার্শে দুইবার লেখা হয়েছে। অন্যান্য সব ঠিক থাকলে দুইপার্শ্বেের পার্থক্যে হবে –
(A) ৯০ টাকা (B) ১৮০ টাকা (C) ২৭০ টাকা (D) ৩৬০ টাকা
উত্তর: (C) ২৭০ টাকা
ব্যাখ্যা: হিসাবের ডেবিট জের ৯০ টাকা রেওয়ামিলের ডেবিট দিকে লেখা উচিত ছিল। কিন্তু এটিকে ভুল করে ক্রেডিট দিকে দুইবার ৯০ টাকা করে লেখা হয়েছে। এর ফলে রেওয়ামিলের ডেবিট দিকের যোগফল ৯০ টাকা কম হবে এবং ক্রেডিট দিকের যোগফল ৯০ টাকা + ৯০ টাকা = ১৮০ টাকা বেশি হবে। তাই রেওয়ামিলের দুই দিকের পার্থক্যের পরিমাণ হবে ডেবিট দিকের কম ৯০ টাকা + ক্রেডিট দিকের বেশি ১৮০ টাকা = ২৭০ টাকা ।
৩০. আসল লেনদেন কোনটি?
(A) ঝণপত্র ইস্যু (B) শেয়ার ইস্যু (C) লভ্যাংশ ইস্যু (D) শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সম্পদ ক্রয়
উত্তর: (D)
ব্যাখ্যা: হিসাববিজ্ঞানের ভাষায় লেনদেন হলো এমন ঘটনা যা ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় এবং যা টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা যায়। প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে ঋণপত্র ইস্যু, শেয়ার ইস্যু এবং লভ্যাংশ ইস্যু সবই আর্থিক লেনদেন। তবে “আসল লেনদেন” বলতে অনেক সময় ব্যবসায়ের মূল কার্যকলাপ বা সম্পদ অর্জন/বিক্রয় সংক্রান্ত লেনদেনকে বোঝানো হতে পারে। শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সম্পদ ক্রয় একটি সরাসরি লেনদেন যেখানে ব্যবসায়ের একটি সম্পদ বৃদ্ধি পায় এবং মালিকানা স্বত্ব পরিবর্তিত হয়। এটি ব্যবসায়ের সম্পদের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে, যা এটিকে অন্যান্য আর্থিক লেনদেন (যেমন শুধু তহবিল সংগ্রহ বা মুনাফা বণ্টন) থেকে কিছুটা আলাদা করে তোলে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে, শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সম্পদ ক্রয় একটি আসল লেনদেন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে ।
৩১) XYZ কোম্পানি ১,০০,০০০ টাকা ঝণ পরিশোধের জন্য শেয়ার ইস্যু করল । এতে হিসাব সমীকরণে কী প্রভাব পড়বে?
(A) সম্পদ ও মালিকানাস্বত্ব বৃদ্ধি (B) সম্পদ ও দায় বৃদ্ধি (C) দায় বৃদ্ধি ও মালিকানাস্বত্ব হ্রাস (D) মালিকানাস্বত্ব বৃদ্ধি ও দায় হ্রাস
উত্তর: (D) মালিকানাস্বত্ব বৃদ্ধি ও দায় হ্রাস
ব্যাখ্যা: ঋণ পরিশোধের জন্য শেয়ার ইস্যু করা হলে কোম্পানির দায় (ঝণ) কমে যায় এবং শেয়ার ইস্যুর কারণে মালিকানাস্বত্ব বৃদ্ধি পায়। হিসাব সমীকরণে এর প্রভাব হলো দায় হ্রাস এবং মালিকানাস্বত্ব বৃদ্ধি ।
৩২. মোট টাকা প্রাপ্তি ৫০,০০০ টাকা যার মধ্যে বিগত বছরের ৫,০০০ টাকা, পরবর্তী বছরের ৭,৫০০ টাকা এবং চলতি বছরের ৯,০০০ টাকা অনাদায়ী হলে, আয় ব্যয় বিবরনীতে চাঁদা বাবদ কত টাকা দেখাতে হবে?
অপশনসমূহ: (A) ৪৬,৫০০ টাকা (B) ৫০,০০০ টাকা (C) ৪৫,০০০ টাকা (D) ৩৭,৫০০ টাকা
উত্তর: (A) ৪৬,৫০০ টাকা
ব্যাখ্যা: আয়-ব্যয় বিবরণীতে চলতি বছরের মোট প্রাপ্য আয় দেখাতে হয়। এখানে মোট প্রাপ্তি ৫০,০০০ টাকা। এর মধ্যে বিগত বছরের ৫,০০০ টাকা এবং পরবর্তী বছরের ৭,৫০০ টাকা বাদ দিতে হবে, কারণ এগুলো চলতি বছরের আয় নয়। অর্থাৎ, চলতি বছরে নগদ প্রাপ্তি = ৫০,০০০ – ৫,০০০ – ৭,৫০০ = ৩৭,৫০০ টাকা। এছাড়াও, চলতি বছরের অনাদায়ী আয় ৯,০০০ টাকা চলতি বছরের আয়ের সাথে যোগ করতে হবে, কারণ এই আয় চলতি বছরে অর্জিত হয়েছে কিন্তু নগদ পাওয়া যায়নি। সুতরাং, আয়-ব্যয় বিবরণীতে চাঁদা বাবদ দেখাতে হবে = ৩৭,৫০০ + ৯,০০০ = ৪৬,৫০০ টাকা ।
৩৩. ব্যাংক সমন্বয় বিবরণী প্রস্তুতকরণের সময় ব্যাংকের বইয়ের জের হতে নিম্নলিখিত কোনটি বিয়োগ করতে হয়?
(A) ব্যাংকের সার্ভিস চার্জ (B) বকেয়া চেক সমূহ (C) পরিশোধী জমা (D) টাকা নাই বলে ফেরত চেকসমূহ
উত্তর: (B) বকেয়া চেক সমূহ
ব্যাখ্যা: ব্যাংক সমন্বয় বিবরণী প্রস্তুত করার সময় যখন ব্যাংকের বইয়ের জের (ব্যাংক বিবরণীর উদ্বৃত্ত) থেকে শুরু করা হয়, তখন বকেয়া চেকসমূহ (যে চেকগুলো ইস্যু করা হয়েছে এবং ক্যাশ বইতে লেখা হয়েছে কিন্তু প্রাপক কর্তৃক এখনও ব্যাংক হতে টাকা তোলা হয়নি) ব্যাংক বিবরণীর জের থেকে বিয়োগ করতে হয়। কারণ এই চেকগুলো ক্যাশ বইয়ের উদ্বৃত্ত কমিয়ে দেয় কিন্তু ব্যাংক বিবরণীর উদ্বৃত্তে এখনও ডেবিট (বিয়োগ) করা হয়নি। তাই ব্যাংক বিবরণীর উদ্বৃত্তকে ক্যাশ বইয়ের উদ্বৃত্তের সমান করার জন্য বকেয়া চেকসমূহ বিয়োগ করা হয়।




Share this:
- Post
- Click to print (Opens in new window) Print
- Click to email a link to a friend (Opens in new window) Email
- Click to share on Reddit (Opens in new window) Reddit
- Share on Tumblr
- Click to share on Telegram (Opens in new window) Telegram
- Click to share on Threads (Opens in new window) Threads
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window) WhatsApp
- Click to share on Mastodon (Opens in new window) Mastodon
- Click to share on Nextdoor (Opens in new window) Nextdoor
- Click to share on Bluesky (Opens in new window) Bluesky